২০১৯ সালে ২০৪টি দেশের জন্য IHME (INSTITUTE FOR HEALTH METRICS AND EVALUATION) -এর গবেষনা প্রবন্ধ “Global burden of bacterial antimicrobial resistance in 2019: a systematic analysis” একটি ব্যাপক-ভিত্তিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রকাশ করেছে যে, এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে।
‘এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স ’ বিশ্বব্যাপী একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। কারণ-
- ২০১৯ সালে সারা বিশ্বে ঔষধ-প্রতিরোধী সংক্রমণ সংশ্লিষ্ট কারণে ৪.৯৫ মিলিয়ন মানুষ মৃত্যু বরণ করেছিলেন। এর মধ্যে সরাসরি এএমআর-এর কারণে ১.২৭ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
- সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে শিশুরা। এএমআর-এ যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে একজন হচ্ছে শিশু। এদের বয়স পাঁচের নীচে।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি কী?
- ২০১৯ সালে বাংলাদেশে সরাসরি এএমআর-এর কারণে মৃত্যু হয়েছিল ২৬,২০০ জন মানুষের এবং এএমআর-এর সাথে সম্পর্কিত নানা অসুখে মৃত্যু সংখ্যা ছিল ৯৮,৮০০টি।
- ২০৪টি দেশে এএমআর-এর সাথে যুক্ত প্রতি ১০০,০০০ জনসংখ্যার মধ্যে সর্বোচ্চ বয়স-প্রমিত মৃত্যুর হারে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩০তম।
- গ্লোবাল বারডেন অব ডিজিজেস-এর হিসাব অনুযায়ী দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচটি দেশের মধ্যে বয়স-ভিত্তিক মৃত্যুর হারে বাংলাদেশ সর্বনিম্ন স্থানে রয়েছে।
- বাংলাদেশে অন্যান্য রোগ যেমন- দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্টের রোগ, শ্বাসকষ্টের সংক্রমণ এবং যক্ষ্মা, মাতৃ-নবজাতক সমস্যা, ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ এবং পরিপাক তন্ত্রের রোগে মৃত্যুর সংখ্যার চেয়ে এএমআর-এ মৃত্যুর সংখ্যা বেশি।
- এএমআর-এ সরাসরি মৃত্যুর ক্ষেত্রে এদেশে মোট পাঁচটি জীবানুর উপস্থিতি রয়েছে: স্টেফাইলোকক্কাস অরিয়াস (১৫,৫০০), ই.কোলাই (১৫,১০০), ক্লেবসিয়েলা নিউমোনি (১৩,৯০০), সিউডোমোনাস এরুজিনোসা (৯,৩০০), এবং সালমোনেলা টাইফি (৮,১০০)।
- এএমআর-এ মৃত্যুর প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে নিউমোনিয়ার মতো শ্বাসতন্ত্রের নিম্নভাগের সংক্রমণ এবং রক্তের সংক্রমণকে। রক্তের সংক্রমণ থেকে সেপটিসিমিয়া হতে পারে।
এমএমআর কান্ট্রি সেলফ-এসেসমেন্ট সার্ভে (ট্র্যাকস) অনুযায়ী বাংলাদেশে এএমআর কার্যক্রমের জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা রয়েছে এবং এজন্য বাজেট সংস্থান রয়েছে। এই পরিকল্পনাটির বাস্তবায়ন তদারকি এবং মূল্যায়নের জন্য স্থায়ী ব্যবস্থা থাকতে হবে। বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিশ্চিত করার জন্য এই তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করতে হবে।
আরো বিস্তারিতভাবে জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুনঃ
https://www.healthdata.org/research-analysis/health-risks-issues/antimicrobial-resistance-amr